মঙ্গলবার , ২২ জুলাই ২০২৫ | ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

১০ দিনের ব্যবধানে প্রতারক কামাল ও চাঁদাবাজ সুলতান নারায়ণগঞ্জে গণধোলাইয়ের শিকার

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ২২, ২০২৫ ৫:২৯ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মো:মুক্তাদির রহমান (শুভ) (নারায়ণগঞ্জ সদর  সংবাদদাতা): বন্দর উপজেলার চিহ্নিত প্রতারক কামাল প্রধান ও সোনারগাঁ উপজেলার চাঁদাবাজ খ্যাত ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অতিষ্ট হয়ে অবশেষে নারায়ণগঞ্জে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দুই টাউটকে ধরে গণধোলাই দিয়েছে জনসাধারণ। শুধু তাই নয় গণধোলাইয়ের পরে কামাল ও সুলতানকে আইন শ্খৃলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় জনগণ। প্রতারক কামালের বিরুদ্ধে প্রায় ২২টি মামলা এবং ভেজাইল্যা সুলতানের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩টি মামলা। তারপরও তারা থামছেনা।

বরং জামিনে বেরিয়ে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি আইন শ্খৃলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছিলো। জানা যায়, বিদেশে নেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, জাল দলিল সৃজন, চেক জালিয়াতি, শিল্প কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা ও ক্ষদ্র ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা আদায় সহ মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাসিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াসএ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ও অবৈধ ভাবে পরিচালিত অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালিয়ে চরিত্র হরন করাই ছিল সুলতান ও কামালের টাকা উপার্জনের হাতিয়ার।

সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যের বাজার হাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া সরকারের পুত্র সুলতান মাহমুদ (৫৫), ও বন্দর উপজেলার বাগবাড়ি এলাকার আবুল প্রধানের ছেলে কামাল প্রধান (৪৫) সংঘবদ্ধ হয়ে একটি প্রতারকচক্র তৈরি করে নারায়ণগঞ্জের আনাচে কানাচে কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, আবার সাংবাদিক ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয়ে আচমকা অভিযান চালিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তাদের রয়েছে একটি প্রতারক নারী চক্র। কারো সাথে পেরে না উঠতে পারলে তখন নারীদের ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন মামলায় ফাসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। কোনো থানায় মামলা মোকদ্দমা না নিলে অথবা এই প্রতারক চক্রের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে পুলিশের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাতে দ্বিধা করেনি। তাছাড়া চাকুরী খাওয়ারও হুমকী ধামকী দিয়ে যেতো।

কারণ সুলতান ও কামালের নাকি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক মহলে তাদের যতেষ্ঠ প্রতাপ রয়েছে। অবশেষে বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বাধ্য হয়ে কামাল প্রধানকে খুজে বের করে ফতুল্লায় গণধোলাই দিয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এছাড়া সুলতান মাহমুদকে নারায়ণগঞ্জে আদালতে পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী এবং উৎসুক সাধারণ জনগণ পুলিশের সামনেই উত্তম মাধ্যম দেয়।

তখন কোর্ট পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে প্রেরন করে। এই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সোনারগাঁ ও নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রতারনা, চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যুতা, বিষ্ফোরক ও নাশকতাসহ বহু মামলা রয়েছে। এই পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কামাল ও সুলতান জেল হাজতবাস করলেও তাদের কোন শিক্ষাই হয়নি। বরং আগের থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তার মধ্যে কামাল কয়েকটি মামলায় কয়েক বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী।

অবশেষে এই দুই প্রতারককে গণধোলাই দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জনসাধারণ তুলে দেওয়ায় শংকিত রয়েছে, তারপরও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে নারায়ণগঞ্জবাসী।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

দর্শক নন্দিত এনটিভি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রিয়াদে জমকালো আয়োজন অনুষ্ঠিত

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে: নাহিদ

খুলনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

বাগেরহাট-১ আসনে আলোচনায় প্রকৌশলী মাসুদ রানা: মাঠে সক্রিয় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী

সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

পুতুল দেওয়ান এই সিজনে গান গাইতে পারবে না

ইক্বরা ইনভেস্টমেন্ট সোসাইটি প্রকল্প।