সোমবার , ২৮ জুলাই ২০২৫ | ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

মাদারগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মাসুদ হত্যা’য় জড়িত চাচা রুবেল

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ২৮, ২০২৫ ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ( মাদারগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা): মাদারগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মাসুদ হত্যা’য় জড়িত চাচা রুবেল (২০)। গত ১২ জুলাই/২৫ রাতে মাদারগঞ্জের কোয়ালিকান্দি এলাকায় নিজবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর মাসুদ প্রামাণিক (২৩) হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ প্রামাণিক সম্রাট আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ঐ বাড়ী থেকেই জীবিত অবস্থায় গলাকাটা  চাচা রুবেল  প্রথমে মাদারগঞ্জ হাসপাতালে এবং উন্নত চিকিৎসার ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

রোববার বেলা সাড়ে ১২ টায় প্রেস ব্রিফিং এ  মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ জানা গত ১২ জুলাই মাদারগঞ্জের কোয়ালিকান্দি এলাকায় নৃশংসভাবে মাসুদ প্রমাণিক খুন হয়েছে এবং রুবেল আহত হয়েছিল ঘটনাটি হচ্ছে মূলত মাদক ব্যবসায় এবং মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মাসুদ প্রামাণিক এবং রুবেলের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব অবস্থায় তৈরি হয়েছিল।

এ অবস্থা বিরাজমান থাকা অবস্থায়  পরিকল্পনা করে মাসুদকে বাসায় ডেকে নিয়ে আসে সে পূর্ব থেকেই একটি চাকু সংগ্রহ করে তার কাছে রেখে দেয়। পরে যখন রাত্রী বেলায় ঐদিনই মাদক সেবন করে ঘুমিয়ে পড়ে আনুমানিক রাত ২ টায় ভিতরে  হাতে ছুরি থাকা অবস্থায় রুবেল প্রামাণিক, ঘুমন্ত  মাসুদ কে পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পিঠে আঘাত করা অবস্থায় মাসুদ প্রামাণিক জেগে উঠে। চাকু টি তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং চাকু দিয়ে এক পর্যায়ে রুবেল প্রামাণিকের হাত কেটে যায়। এবং চাকু’র  অগ্রভাগের অংশ তার গলায় লাগে কেটে যায় রক্তাক্ত অবস্থায়।

তারপর রুবেল প্রামাণিক  মাসুদ প্রামাণিকের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলায় চেপে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। কিছুক্ষণের মধ্যে রুবেল ও পড়ে যায় এবং মাসুদ প্রামাণিক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে রুবেলকে আহত অবস্থায় মাদারগঞ্জ এবং পরবর্তীতে ময়মনসিং মেডিকেলে পুলিশি হেফাজতে  ভর্তি করানো হয়। গত ১৪ জুলাই আহত রুবেল এর বড় ভাই প্রবাসী ফরিদুল ইসলাম কে জড়িত সন্দেহে আটক করে ১৫ জুলাই জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠায় পুলিশ। গুরুতর আহত  রুবেল কে চিকিৎসা শেষে আমরা মাদারগঞ্জ মডেল থানায় আটক করে নিয়ে আসি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনার সে বিস্তারিত বলে। আদালতের নির্দেশে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

তদন্তের স্বার্থে এখন যারা মাদকের সাথে আরো ২/১ জড়িত ছিল তাদেরকেও আমরা চেষ্টা করছি আইনের আওতায় নেয়ার জন্য, যে কারণে গভীরে আরো কোন ঘটনা আছে কিনা ।বাদীপক্ষ চেষ্টা করেছিল যে সাতজন ব্যক্তির নামে  একটি এজহার দায়ের  করার জন্য।  আসলে ঘটনাটি ভিন্ন  খাতে প্রবাহিত করার জন্যই তারা চেষ্টা টি করেছিল।    যার কারণ আমরা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করতে পেরেছি।  রুবেল প্রামানিক স্বেচ্ছায় যেখানে স্বীকার করেছে।  একক ভাবে হত্যা করেছে দায় সে নিজেই স্বিকার করেছে এবং সে  সাতজনের এ হত্যাকান্ডের কোন সম্পৃক্ততা নাই।

রুবেলের যে বড় ভাই প্রবাসী ফরিদ সে কিন্তু ১২ই জুলাই  মাদারগঞ্জে আসে। বাড়িতে না গিয়ে সে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করে। এটি মূলত রুবেল প্রামাণিকের চক্রান্তের একটি অংশ।  বাড়ী ফাঁকা করতে রুবেল প্রামাণিক সু কৌশলে তার মা এবং ভাইকে অন্যত্র  সরিয়ে রাখে।  যাতে করে সে নির্বিঘ্নে হত্যাকান্ডটি চালাতে পারে।  উল্লেখ্য যে, গত ২০ জুলাই/২৫ আহত  রুবেল কে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদে শেষে আদালতে হাজির করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর  রহমানের নিকট জবানবন্দিতে মাসুদ হত্যার দায় স্বিকার করে পরে অভিযুক্ত রুবেল কে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় ।

সর্বশেষ - সংবাদ