এম,শাহজাহান,(ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা): শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পানবর গ্রামের প্রাচীনতম শ্রী শ্রী কালিমাতা কামাক্ষা মন্দিরটি ঝরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ১হাজার ৮ বাংলা সনে ৪০ শতক জমির উপর ততকালীন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা খড়কুটোর কুঁড়েঘরে শ্রী শ্রী কালিমাতা কামাক্ষা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কালের বিবর্তনে উক্ত মন্দিরটি কয়েক পাতা টিন দিয়ে ছাপরা ঘরে পরিনত করলেও ঝড়-তুফানের কারণে তা ভেঙ্গে পড়ে আছে। মন্দিরটি সংস্কার বা উন্নয়নের নেই কোন উদ্যোগ।
দীর্ঘদিনের প্রাচীনতম মন্দিরের জায়গায় আজ পর্যন্ত সরকারী/বেসরকারী ভাবে নির্মিত করা হয়নি কোন স্থাপনা। মন্দিরের নামে বরাদ্দকৃত জমির নেই কোন সীমানা প্রাচীর। যে কারণে স্থানীয়রা আস্তে আস্তে ওই জমিটা বেদখলের চেষ্টা চালায়। মন্দিরের একটি কমিটি থাকলেও জনবল আর অর্থের অভাবে ভাঙ্গা মন্দিরটি মেরামত করতে পারছেনা মন্দির কমিটি। এর পরেও প্রতি বছরের আষাঢ় মাসে এখানে বসে কালিমেলা।
মেলার পরিবেশ না থাকলেও এখানে মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা পশরা বসিয়ে বাহারি রঙের মাটির হাঁড়িপাতিল, হাতের তৈরি কারুকাজ, সাজ ঝুড়ি, বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীসহ মেলার যাবতীয় নান্দনিক পন্য বিক্রি করা হয়। দেশের দুর-দুরান্ত থেকে আসেন অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। এ ব্যাপারে কাংশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শাহজাহান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি সংস্কারের প্রয়োজন।
মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার চন্দ্র কোচ ও সাধারণ সম্পাদক পবিত্র বর্মণ বলেন, অর্থের অভাবে মন্দিরটি সংস্কার করতে পারছিনা। বাউন্ডারি না থাকায় প্রভাবশালীরা মন্দিরের চারিপাশের জমি বেদখলের চেষ্টা করে। সংস্কারসহ বাউন্ডারি করা না হলে বিলীন হয়ে যেতে পারে প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি। এই মন্দিরটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিদের সহযোগীতা কামনা করছেন, এলাকার সর্বস্তরের সনাতন ধর্মাম্বলী ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।