মোহাম্মদ হাসান (লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা): লক্ষ্মীপুরে মাওলানা কাউসার ( ৫৫) নামে জামাতে ইসলামের এক ওয়ার্ড সভাপতি কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার ৫ জুন রাজিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে, জামাত নেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল হক। রাজনীতির ছাই এখন ন্যায়বিচার বনাম দলীয় স্বার্থ। লক্ষ্মীপুরের রাজিবপুর গ্রামের ৫৫ বছর বয়সি মাওলানা কাউসার জামাত ইসলামের এক ওয়ার্ড সভাপতি খুন হয়েছেন।
এই গঠনায় আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ্মীপুরের রাজিবপুর গ্রামে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে যুবদল নেতা সোহাগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিয়াদ এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার জামাতে ইসলামীর ওয়াজ সভাপতি মাওলানা কাউসার ৫৫ ঘটনাস্থলে নিহত পরিবারের আরো তিনজন সদস্য গুরুত্ব আহত।
এই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু রাজনৈতিক মহল থেকে ঘটনাটিকে ব্যক্তিবিরোধ বা পারিবারিক দ্বন্দ্ব বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে চাই একটি প্রাণহাননী এর ঘটনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা কি শুধুমাত্র পারিবারিকভাবে ব্যক্তিগতভাবে বিবেচিত হতে পারে? রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি দলীয় স্বার্থে অপরাধীদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন তবে তা শুধু ন্যায়বিচার পথে বাধা সৃষ্টি করে না বরং সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তোলে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নোয়াখালীতে যোগদানের এক নেতাকে জল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও পেশি শক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সহায়তা করা, কারণ বিচারহীনতা কেবল একটি দলের নয় পুরা সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ।