মোস্তাফিজুর রহমান : রাজধানীর রামপুরা পশ্চিম হাজীপাড়া ডি আইটি মেইন সড়কে দারুল আহম্মেদ হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তোফায়েল আহম্মেদ।
২১ জুলাই সোমবার দুপুরের দিকে হাসপাতালটিতে রোগীদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে যান তিনি। এ সময় হাসপাতালের ম্যানেজার ও এমডিসহ ৭-৮ জন মিলে তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান।
সাংবাদিক তোফায়েল গণমাধ্যমকে জানান , হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন এবং দীর্ঘ সময় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপায় না পেয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তির ফোন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান তিনি।
ওই সময় খবর পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর তিনি রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাংবাদিকের ওপর এমন বর্বর হামলার ঘটনায় শ্রমজীবী, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজসহ নিন্দা জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনগণ। এছাড়াও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজনরাও এ বিষয় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে,দারুল আহমেদ হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছিল। অনেক সেবা গ্রহীতারা আপত্তি তুললেও অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখানে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক নেই। ঢাকা মেডিকেল, মুগদা মেডিকেল নিয়োগকৃত চিকিৎসক এখানে পার্টটাইম চাকরি করেন।তবে বিলবোর্ডে সর্বক্ষণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন এমন প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
আবার মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে আনা নেওয়ার কোন ট্রলির ব্যবস্থা নেই। পুরাতন এক্সরে মেশিন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।নার্স দিয়ে ব্লাড পরীক্ষার রিপোর্টে তৈরি করানো হয়। ঢাকা, মুগদা, মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে রোগিদের বাগিয়ে এনে চিকিৎসা দিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মেডিকেলে দালাল নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। তাদের কে অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে ব্যবহার করা হয়। বিস্তারিত আসতেছে পরবর্তী সংখ্যায়।