স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, আপনারা জনগণের পুলিশ হবেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। পুলিশ যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবতার সেবা করতে পারে, তেমনি দেশের মানুষকে একটি খেলার মাধ্যমে একত্রিত করতেও পারে। পুলিশ দেখিয়ে দিল, পুলিশ সব কিছুই পারে।
শুক্রবার (৭ জুন) জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বুঝে গিয়েছিলাম পাকিস্তানের সঙ্গে আর নয়। ৬৬ তে যখন ছয় দফা ঘোষণা করা হলো তখনই ছিল আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। সারা দেশের মানুষ এটিকে স্বাধীনতার দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
এই ছয় দফাকে ঘিরে আজকের এই আয়োজনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন ও চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করা ছাড়াও করোনা মহামারিসহ যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (পিবিআই) বনজ কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (পিবিআই) বনজ কুমার মজুমদার।
অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং ৭ জুনের ছয় দফাকে প্রতিপাদ্য করে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ অত্যন্ত অর্থবহ হয়েছে। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলের কনভেনশনে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন।’
এর আগে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে এম্ফিথিয়েটারে এসে শেষ হয় এই হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। পরে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ৪টি কাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ীর মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় ১৬-৫০ বছর বয়সী পুরুষ বিভাগে প্রথম হয়েছেন মো. আল-আমিন, দ্বিতীয় হয়েছেন মো. আসিফ বিশ্বাস ও তৃতীয় হয়েছেন মেহেদী হাসান।
৫১ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সী নারীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন চীনা নাগরিক ইরিলি খইকি, দ্বিতীয় হয়েছেন শাহ তামান্না সিদ্দিকি ও তৃতীয় হয়েছেন আয়শা মুন্নি। ৫১ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সী পুরুষ বিভাগে প্রথম হয়েছেন জসিম উদ্দিন আহম্মেদ, দ্বিতীয় হয়েছেন মো. ওহাব খাঁন ও তৃতীয় হয়েছেন আমিনুর রহমান।