মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): ২ জুলাই নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে এক বৃদ্ধা নারীকে কান্নারত দেখে একজন স্টাফ সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশকে অবগত করে।
থানা পুলিশ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নিরাপদ হেফাজতে প্রদান করে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। উদ্ধারকৃত বৃদ্ধা বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে তার পরিবারের ঠিকানা জানাতে পারেনা। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের ছবি দিয়ে পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করা হয়।
পাশাপাশি খানজাহান আলী এবং হরিণটানা থানা এলাকায় ভিকটিমের পরিবারের খোঁজে প্রচারণা চালানো হয়। অবশেষে ৭ জুলাই ২০২৫ তারিখ হরিনটানা থানাধীন কৈয়া বাজারের এক ভ্যানচালক উক্ত ভিকটিমকে শনাক্ত করেন।
তিনি জানান বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন, পিতা-মৃত সুলতান গাজী এবং মাতা-মৃত সবুরুন্নেছা। ভ্যানচালকের সহায়তায় বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। অতঃপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ মনোয়ারা খাতুনকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
হারিয়ে যাওয়া মনোয়ারাকে ফিরে পাওয়ায় তার পরিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।