শনিবার , ১২ জুলাই ২০২৫ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির।

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ১২, ২০২৫ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মদ নুর আলম আকন্দ:
জেলা সংবাদদাতা নারায়ণগঞ্জ।

রাষ্ট্র চাইলে আর কোন নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হবে না।

দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। “The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025” নামে এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে একটি নতুন ধারা (173A) যুক্ত করা হয়েছে, যা তদন্ত চলাকালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন।

নতুন ধারায় যা আছে:

সংশোধিত আইনে যুক্ত হওয়া 173A ধারায় “Interim investigation report, etc.” (অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি) শিরোনামে নতুন বিধান আনা হয়েছে। এর মূল বিষয়গুলো হলো:

১. অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন তলব: এখন থেকে মামলার তদন্ত চলাকালে যেকোনো পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বা সমমর্যাদার কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (Investigating Officer) মামলার অগ্রগতির বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।

২.অভিযুক্তকে অব্যাহতি: অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে যদি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেই প্রতিবেদন আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল) দাখিল করা যাবে। আদালত ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি (Discharge) দিতে পারবেন। এর ফলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা না করেই নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।

৩. পুনরায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ: অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি পেলেও সেটি চূড়ান্ত নয়। যদি তদন্ত শেষে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে চূড়ান্ত পুলিশ প্রতিবেদনে (ধারা ১৭৩ অনুযায়ী) তার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো বাধা থাকবে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নতুন বিধান বিচার প্রক্রিয়ায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এর ফলে তদন্তাধীন মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে নিরপরাধ ব্যক্তিদের জেল হাজতে থাকা বা হয়রানির শিকার হওয়ার প্রবণতা কমবে। একই সাথে এটি বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতেও সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধ্যাদেশটি জারির তারিখ থেকেই কার্যকর বলে গণ্য হবে।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিকল্পিতভাবে অবনতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেঃ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ রাষ্ট্রপতির বৈঠকে যত সিদ্ধান্ত হয়েছে

হাতিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুই সনাতন ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু,পরিবারের পাশে জামায়াত: এবং নতুন ঘর নির্মাণ

খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বিদেশে পাঠাতে চায় মেডিকেল বোর্ড

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অজানা কিছু সামাজিক কর্মকান্ড

গাইবান্ধায় অবৈধ কয়লার চুল্লি গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য,সন্ত্রাস,ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কালিগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিবাদ মিছিল

এস এম আক্তার হোসেন নেছারাবাদ উপজেলায় সংবাদদাতা

‘ইসকন’ বিষয়ে জানতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন হাইকোর্ট

খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল