তানজিলা শাহ্ রূবী (নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা): নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ৭.৮.৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মন্জুরা আক্তারকে পুলিশ দিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাঞ্ছিত ও অনাস্থা প্রদানে প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন ভোক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। ১৪ই জুলাই মহিলা সদস্যে মন্জুরা আক্তারের নিজ বাড়ির সামনে রাস্তায়, বিকাল ৪ টায় মানববন্ধন হয়।
এ সময় মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ভোক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার টিআর, কাবিখা/কাবিটা কর্মসূচি প্রকল্পে গোপনে পিআইসির সভাপতি নাম দেয় ইউনিয়ন সচিব আনোয়ার। তাছাড়া কয়টা প্রকল্প কি কি প্রকল্প সেটাও তখন জানতেন না। পরে ইউপি সচিব আনোয়ার হোসেন প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য বললে তিনি সরল মনেই তার কথা মতো একাউন্ট করেন । কিন্তু উক্ত ভুক্তভোগী সদস্যর কাছ থেকে জোর করে ব্যাংক চেকের ৩ টি পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে চেক বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন বিষয়টা বুঝতে না পারলেও যখন টাকা তোলার কথা বলেন তখন সচিব অস্বীকার করেন।
পরে ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট যাচাই করে জানতে পারেন একাউন্টে কোন টাকা আসেনি । পরে তিনি আরো জানতে পারেন যে ঐ সচিব প্রকল্পের কাজের প্রথম ধাপের বিলের টাকা আত্মসাৎ করে।
এর পরে ইউএনও ও প্রশাসক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কে জানালে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। প্রশাসনিকভাবে এ বিষয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে কিন্তু তাতে ও কোন লাভ হয়নি। পরিশেষে স্বাক্ষরিত ব্যাংক চেক উদ্ধারে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত হতে ইউএনও এবং ওসি বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়ায় সেই নোটিশের তদন্তের নামে ১০ই জুলাই বৃহস্পতিবার গড়াডোবা ইউনিয়নের সকল মেম্বার প্রশাসক ও সচিবসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কক্ষে মিটিংয়ের জন্য ডাকেন ।
সে সময় চেকের কোন বিচার না করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন তখন স্বাক্ষর না দেওয়ায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উনি অশ্লীল ভাষায় গালি দেয় বাদীকে এবং ফোনটিকে ইউএনও কে দিতে বলেন ।
কিন্তু তিনি যখন ফোন দিতে অস্বীকৃতি জানান তখন পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দিবে ভয়-ভীতি সহ পুলিশ দিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাঞ্ছিত ও অনাস্থা দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই সময় দু’জন গণমাধ্যম কর্মী থাকাতে থানা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি কিন্তু ওসি সহ কয়েকজন পুলিশ নিয়ে এসে অন্য একটা রুমে গিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ চেক করে এত করে মোবাইলের মেমোরি ও প্রজেক্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়।
তখন ইউএনও’র পরিকল্পনায় অন্যান্য ইউপি সদস্যকে দিয়ে একটি অভিযোগও করায় যে বিভিন্ন দুর্নীতি করা হয়েছে কিন্তু ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকে কোন প্রকল্পের কাজ করেননি অথচ তারা নিজে কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ এর কথা বলছে।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, স্থানীয়রা বলেন প্রজেক্টের কাজে পিআইও,ইউএনও,ইনজিনিয়ার এর সততা পাওয়ার পর স্বাক্ষর করলে বিল পাস হয় কিন্তু তারা কিভাবে স্বাক্ষর করেন যে টাকা আত্মসাৎ করতে পারে? কাজ না করে কি টাকা আত্মসাৎ করা যায়। ইউএনও নির্দেশ মতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সহ সকলে মিলে অন্যায় ভাবে অনাস্থা দিয়েছেন বলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর একটাই দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন সঠিক বিচার করা হয়।