তানজিলা শাহ্ রূবী (নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা): কলমাকান্দায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে দোকানে আটক, পরে গৃহবধূকে প্রেমিক সাহিদের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাসে বাবার কাছে তুলে দেন । ৫ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর অবস্থান।
এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রেমিক গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনা ঘটে কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের চিলের কাকুড়ি নামক একই গ্রামের আপন মামাতোর দিকে দেবর ভাবির ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক জড়ায়। প্রেমিক সাহিদ(২০) ঐ ওয়ার্ডের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং সিধলী বাজারে তার মনিহারি দোকান রয়েছে। গৃহবধূ জানান, প্রায় তিন বছর ধরে তার সঙ্গে সাহিদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় সাহিদ তার সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক করে । তার স্বামী দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে । বেশিরভাগ বাড়ির বাহিরে থাকে ।
গত শুক্রবার সিধলী বাজারে পাশে এক দোকানে অস্বাভাবিক ভাবে ছিল এবং তারপর মোবাইল নিয়ে কাড়াকাড়ি করায় পাশে থাকা লোকজন এসে হাতেনাতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয়ে ছেলের বাবাকে ফোন করে আনে এবং বিয়ে করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন কিন্তু স্বামী তালাক না দেওয়ায় ছেলের পরিবার বিয়ে দিতে পারছেন না। এদিকে স্বামীও মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। তবুও তাকে ঘরে নিলে সে যাবে, না হয় এখানেই থাকবে বলে জানায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহিদের মা বলেন, ছেলে যেহেতু এরকম একটা ঘটনা ঘটিয়েছে । এমনটা যা কখনো ভাবিনি,এখন তো মেয়েকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই ।কিন্তু সমস্যা হল মেয়ের স্বামী এলাকায় না থাকায় তাদের মধ্যে তালাক নেওয়া যাচ্ছে না। এজন্যই এতদিনেও সমাধান করা যাচ্ছে না।
তবে মেয়ের স্বামী তালাক দেওয়ার সাথে সাথেই উনার ছেলে সাহিদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে বলে জানান । সন্তানদের মেনে নিবে কিনা সে প্রশ্নের তিনি বলেন ,সন্তানকে মেনে নিবে কেন? তবে অভিযুক্ত জুয়েল পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নারীর স্বামী এদিকে ঐ নারীর জা জানান,উনার দেবর আগে কয়েকবার অসামাজিক ভাবে ধরে ছিল তার পরেও সমাজের কথা চিন্তা করে ছেলের অভিভাবকদের কাছে জানায় এবং ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে করানোর জন্য চাপ দিয়েছিল তখন কথা শুনেনি।গত শুক্রবারে সিধলী বাজারে লোকজন তাদের ধরে এবং ছেলে অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেয় ।এখন উনার জা কে দেব ঘরে নিবে না বলে জানিয়েছে।