নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সোহেল সামাদ এক গঠনমূলক ও প্রতিবাদী বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের। কিন্তু যখন এই বাহিনী কোনো বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত হয়, তখন সেটি দেশের জন্য গভীর সংকটের ইঙ্গিত বহন করে।” তিনি আরও বলেন, “যে বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে, সেই বাহিনী যদি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে তা একটি সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ বা রক্তাক্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পারে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
” সোহেল সামাদ জোর দিয়ে বলেন, “দেশের জনগণ আজ সচেতন। তারা বুঝে ফেলছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা যদি নষ্ট হয়, তাহলে গণতন্ত্র এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে।
” তিনি জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই, সেনাবাহিনী আবার সেই সম্মানের জায়গায় ফিরে যাক—যেখানে জনগণ নিঃশঙ্ক চিত্তে আস্থা রাখতে পারে।” “আমরা কোনো দুঃশাসন চাই না, চাই জনগণের শাসন ও ন্যায়বিচার।”
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি এই অবস্থান থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে— রাষ্ট্রযন্ত্রের দলীয়করণ ও জনবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তারা সর্বদা রুখে দাঁড়াবে। শেষে সোহেল সামাদ বলেন, “সেনাবাহিনী দলের নয়, দেশের। এই বার্তাই আজ সবচেয়ে জরুরি।”