রবিবার , ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

বাংলাদেশে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সুশাসনের সংকট: পরিত্রাণের উপায়

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
মার্চ ২৩, ২০২৫ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল অর্থনীতি, সামাজিক অগ্রগতি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা ও সুশাসনের অভাব অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যার কারণে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং নাগরিক সুরক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কার্যকর সংস্কার ও স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

দুর্নীতি ও অনিয়মের বর্তমান চিত্র Transparency International (TI) এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে দুর্নীতি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। সরকারি দপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত, ভূমি প্রশাসনসহ প্রায় প্রতিটি স্তরে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি দেখা যায়। দুর্নীতির কারণ

১. স্বচ্ছতার অভাব: সরকারি প্রশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়, যা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে।

২. দুর্বল জবাবদিহিতা: অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে শিথিলতা।

৩.  রাজনৈতিক প্রভাব: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ।

৪. স্বল্প বেতন ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কম বেতনের কারণে দুর্নীতির পথ বেছে নেয়।

৫. সুশাসনের অভাব: প্রশাসনিক দুর্বলতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব।

রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা ও চাঁদাবাজি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন মহল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর একাংশ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হুমকি। সুশাসনের অভাব ও তার প্রভাব সুশাসনের অভাবে— বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।

নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সমাধান ও সুপারিশ

১. আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমন স্বাধীন ও কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিশ্চিত করতে হবে। সকল দুর্নীতিবাজকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে রেখে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।

২. প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারি সেবার ডিজিটালাইজেশন বাড়িয়ে দুর্নীতি কমানো সম্ভব।

৩. সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ আমলাতন্ত্রকে স্বাধীন ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সকল সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

৪. নাগরিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মিডিয়া ও নাগরিক সমাজকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

উপসংহার বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা ও সুশাসনের অভাব দূর করা জরুরি। প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগ, বেসরকারি খাত ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

এ লক্ষ্যে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

 সোহেল সামাদ বাচ্চু

 যুগ্ম-সচিব – বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

মারকায মাদ্রাসার জমি উদ্ধার ও বিশ্ব ইজতেমায় হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ ॥ লংমার্চ ॥ গণজমায়েত

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি

আল আকসা এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়

ধামইরহাটে ৬টি ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে

নীলফামারীতে ১৭ কেজি গাজাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার ,জব্দ প্রাইভেট কার

গণভবন হবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর’

র‌্যাব মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেনের বিদায়ী সংবর্ধনা

খুলনা নগরীর ৮নং ওয়ার্ড মহিলা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ফিফা প্রীতি ম্যাচ সাগরিকার হ্যাটট্রিকে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ