সব মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু কিছু লোক সিলেক্টেড তারাই শুধু তোষামোদ করে। আপনারা একটু প্রো-অ্যাকটিভ হবেন। আমাদের সাজেশন দেবেন। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম, যখনই কিছু বলতাম, বলা হতো স্যার আমরা সব করে ফেলব। এ রকম রিঅ্যাকটিভ হলে তো কাজ হবে না। এই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।
ব্যংকিং কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সংস্কারের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যক্রম চালু হোক তারপর। এখন ইমিডিয়েট এটি করতে গেলে তো অন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।
লাইনচ্যুত অর্থনীতি লাইনে আনতে কত সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় না বেসিক কাজগুলো করতে বেশি সময় লাগবে। কারণ অলরেডি তো ছিল, মাঝখানে বিচ্যুতি হয়েছে। একেবারে লাইচ্যুত হয়ে যায়নি, একটু স্লো হয়ে গেছে। আমি মনে করি এটা মন্থর হয়ে গেছে। এটার গতি আমরা বাড়াবো। মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতি ছাড়াও এতদিন কিছু ভুল ছিল। উন্নয়ন কৌশল নীতি সেই উন্নয়নের সুফল কিন্তু মানুষ পায়নি। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক। সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি জবাবদিহিতার আওতা থেকে বের হয়ে যাবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। পদত্যাগপত্র তিনি দিয়েছেন। সেটা আমি একা সিদ্ধান্ত নেবো না। রোববার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এটা একটা সেনসিটিভ বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশের যথেষ্ট আইনকানুন আছে, কিন্তু সেটা মানা হয়নি। এবং যারা মানাবে তারা মানেনি, যারা মানবে তারাও মানেনি। যারা মানেনি নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
টাকা পাচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা আমরা জানি। ওটার একটা প্রক্রিয়া আছে। তথ্য লাগবে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে হয় এটি আমরা করবো।