সোমবার , ২৮ জুলাই ২০২৫ | ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

প্রধান প্রকৌশলী দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ায় গোটা এলজিইডি জুড়ে ক্ষোভ

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ২৮, ২০২৫ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোস্তাফিজুর রহমান : দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগে গোটা এলজিইডি জুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা হলেও একের পর এক ঘুষ, দুর্নীতি অনিয়মের ঘটনা চাউর হচ্ছে। এ ঘটনায় গোটা দপ্তরসহ অন্যদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। ইতোপূর্বে সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এঘটনার পরে আলোচনায় আসে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদের নাম। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা।

৬০ এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও কালের আবর্তে সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। আর এই কর্মযজ্ঞকে কাজে লাগিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা গড়ে তুলেছেন নিজেদের সম্পদের পাহাড়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পগুলোতে রাষ্ট্রের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও অসাধু কর্মকর্তারাও অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে বড় একটি অংশ ঘরে তুলে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এর মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ এর নাম অন্যতম।

গণমাধ্যম কর্মীদের চৌকস একটি টিমের  অনুসন্ধানে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্ত হাতে এসেছে । এই দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারি সিন্ডিকেট তৈরির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরটিতে দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যম কে জানান, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া প্রায় ৮০ কোটি টাকার মিশন বাস্তবায়ন করে এলজিইডি দপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলী পথ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মোঃ আবদুর রশীদ এলজিইডিতে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন এবং প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে বড় একটি অংশ চলে যায় এলজিইডি এ সিন্ডিকেটের হাতে। তিনি এলজিইডির দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তবে তাঁর আচার আচরণ রাজনৈতিক নেতার মতন। তাঁর অবৈধ কর্মকাণ্ডে গোটা এলজিইডির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া অস্বাভাবিক ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির কারণে গোটা দপ্তর ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া দুর্নীতির অর্থ কোথায় রেখেছেন!

গণমাধ্যম কর্মীদের চৌকস একটি টিমের  অনুসন্ধানী দল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হয়ে হাতে পেয়েছেন একাধিক তথ্য-উপাত্ত। দুর্নীতির অর্থে নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ ও ঢাকায় কিনেছেন জমি , ও বেনামে একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন, বরুয়া মৌজায় তার নামে ক্রয় করেছেন ৭ কাঠা জমি, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।

মোহাম্মদপুরের শাজাহান রোডের ডি-ব্লকের হোল্ডিং নং ৩২/৩ এর ছয়তলা বাড়িটিও তার। ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর স্ত্রী ফাতেমা জাকিয়ার নামে ক্রয় করেছেন ফ্ল্যাট। সিরাজগঞ্জের হাইওয়ে সড়কের পাশে ৬০ কাঠা জমির ওপর চালাচ্ছেন ফুড গার্ডেন নামে রেস্টুরেন্ট এবং তার পাশেই আপন শ্যালকের নামে জমি ক্রয় করে দুইটি ৫ তলা বাড়ি নির্মান করেছেন। আব্দুর রশিদ তার নিজ গ্রাম কাজিপুর উপজেলায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

এসব অনিয়মের বিষয়  বক্তব্য জানতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়াকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও  তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কল কেটে দেন । হোয়াটসঅ্যাপ খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তার জবাব দেয়নি।

উল্লেখ্য যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার তথ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হতে  যাচ্ছে চোখ রাখুন দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকা ও অনলাইন ডটকম পেজে।……

সর্বশেষ - সংবাদ